সংশ্লিষ্টরা জানান, কিছু অমুক্তিযোদ্ধা সন্তানের চাকরি, বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি, চিকিৎসা ভাতা, দুই বছর চাকরি বৃদ্ধিসহ ইত্যাদি সুবিধা নিতে টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম বাদ, শোকেই মৃত্যু
এ বিষয়ে উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার সফিকুর রহমান জানান, ২০১৭ সালে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি উপজেলা মিলনায়তনে যাচাই-বাছাই করে। তখনকার কমিটির সদস্য সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আমিন উল্লাহ ২০২১ সালের কমিটিতেও রয়েছেন। তিনি ২০১৭ সালে ৪৮ জনকে ‘না’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। একই ব্যক্তি গত ৩০ জানুয়ারি তাদের ‘হ্যাঁ' বলে প্রতিবেদন দেন।
সাবেক উপজেলা কমান্ডার আবদুল বারী মজুমদার জানান, বর্তমান যাচাই-বাছাইয়ে সভাপতি ছিলেন মনোহর আলী তোতা, সদস্য আবুল হোসেন ননী ও আমিন উল্লাহ। সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বেশিরভাগ ‘অমুক্তিযোদ্ধা’ প্রশিক্ষণ স্থান বলেছিল কাঁঠালিয়া। কিন্তু কাঁঠালিয়া কোনো প্রশিক্ষণ ক্যাম্পই ছিল না।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিহত ৫
মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ওরফে পিস্তল বাশার বলেন, ‘অমুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কোনো আপোস করব না। আমার দাবি মিথ্যা হলে যে কোনো সাজা ভোগ করব।’
যাচাই কমিটির সদস্য আমিন উল্লাহ বলেন, ‘৪৮ জন ২০১৭ সালের বাছাইয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তাই ‘না’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছি। এবার তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটির অন্য সদস্যরা তাদের শনাক্ত করেছে। সেখানে আমার ‘না’ বলার সুযোগ ছিল না।’
যাচাই কমিটির সভাপতি মনোহর আলী তোতা বলেন, ‘তাদের অভিযোগ সত্য নয়। কেউ টাকা নেয়ার প্রমাণ দিতে পারলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেবো না। যারা অভিযোগ করছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে হবে ২০ হাজার টাকা: প্রধানমন্ত্রী
যাচাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে এম সাইফুল আলম জানান, মুক্তিযোদ্ধা নেতারা অন্যদের শনাক্ত করেছেন। সেখানে প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ৪৮ জনের নাম এখনও চূড়ান্ত তালিকায় আসেনি। তাদের নাম জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) পাঠানো হয়েছে। সেটি তারা আবার যাচাই করবে। অভিযোগকারীরা এবিষয়ে জামুকায় অভিযোগ দিতে পারেন।